লে’কিপ এসব গুঞ্জনের আগুনে নতুন ঘি ঢেলেছে—সৌদি আরব নাকি মেসিকে তাদের ফুটবলে উড়িয়ে নিয়ে যেতে চায়। সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মেসির সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা চলছে দেশটির প্রো লিগের ক্লাব আল আহলির। ৩৮ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন কিংবদন্তির সঙ্গে চুক্তি করতে ‘যা যা করার দরকার সবই করবে’ এই সৌদি ক্লাবটির বোর্ড—এমন খবরই জানিয়েছে লে’কিপ।
কয়েক সপ্তাহ ধরে নাকি মেসির সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা চলছে আল আহলির। সৌদি অফিশিয়ালরা মেসিকে রাজি করানোর চেষ্টা করছেন। মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি থেকে এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো চেষ্টা চালানো হচ্ছে মেসিকে নিয়ে যাওয়ার। ২০২৩ সালে মেসি পিএসজি ছাড়ার পর তাঁকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল সৌদির ঘরোয়া ফুটবল থেকে। কিন্তু বার্সেলোনা কিংবদন্তি তখন ইন্টার মায়ামিকে বেছে নেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মায়ামির সঙ্গে ডিসেম্বরে মেসির বর্তমান চুক্তির মেয়াদ ফুরোবে। এখনো নতুন চুক্তির বিষয়ে অফিশিয়ালি কিছু শোনা যায়নি। মায়ামিতে যোগ দেওয়ার পর দুটি ট্রফি জিতলেও এখন পর্যন্ত মেসি ক্লাবটির হয়ে বড় কোনো শিরোপা জিততে পারেননি।
শিরোপা জয় বিচারে আল আহলি সৌদির তৃতীয় সর্বোচ্চ সফল ক্লাব। ৫২টি ট্রফি জেতা এই ক্লাব গত মৌসুমে জিতেছে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নস লিগ। ম্যানচেস্টার সিটির সাবেক খেলোয়াড় রিয়াদ মাহরেজ, লিভারপুলের সাবেক ফরোয়ার্ড রবার্তো ফিরমিনো আছেন আল আহলিতে। জেদ্দার এই ক্লাবটির মালিক সৌদি আরবের সরকারি তহবিল সংস্থা পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (পিআইএফ)।
মেসির একসময়ের চির প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো খেলেন প্রো লিগেরই ক্লাব আল নাসরে। মেসি যদি শেষ পর্যন্ত আল আহলির প্রস্তাবে রাজি হন, তাহলে সৌদি আরবে সেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা আবারও দেখা যেতে পারে। লে’কিপের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মেসির সঙ্গে আল আহলির দর-কষাকষিতে পারিশ্রমিকের অঙ্কটা এখনো জানা যায়নি; তবে সৌদি আরব ২০৩৪ বিশ্বকাপ সামনে রেখে এই পরিকল্পনা করেছে।
কোথাকার জল কোথায় গড়ায়, এখন সেটাই দেখার বিষয়।